শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১০

আত্নকথন (বৃষ্টি স্নাত দুপুর)

বাইরে সারাদিন ঝিম মারা বৃষ্টি পড়ছে; পড়ছে তো পড়ছেই। এই বৃষ্টি স্নাত দুপুর বেলায় ভরপেট গরম গরম খিচূরী, বেগুন ভাজা আর ডিম ভুনা খেয়ে ঘুম দিতে পারলে মনটা একদম আয়েশী হয়ে উঠতো। অথচ সব বরবাদ করে আমি শুন্য পেটে লেখালেখিতে ব্যস্ত। গত দু'দিন আমার পরিপাকতন্ত্রের গরমিলে আমার অবস্থা করুন থেকে করুনতর। বারংবার নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়া-আসায় আমার মাঝে এখন শুন্যতা ভর করেছে। শুন্য পেটে আসলে মনটাও শুন্য শুন্য লাগে; মনে হয় দুনিয়ার তাবৎ জিনিষ শুন্য দিয়ে গুনন দেয়া হয়েছে।
                শরীরটা ভাল থাকলে এমন বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে রাস্তায় হাটবার চেষ্টা করতাম। যদিও জীবনে একবারই তা করা হয়েছিল। মনে আছে, বাইরে এইরকম গুড়ম গুড়ম করা আকাশে নির্লিপ্ত ভাবে পড়ে যাওয়া বৃষ্টির দিনে আমিও তাল মিলিয়ে ছিলাম। অনেকটা পথ একাই হেটে আর নিজের সাথে কথা বলে সময় কাটিয়ে দিয়েছিলাম। কথপকোথনে নিজের দুই সত্বার আত্নপ্রকাশ ঘটেছিল, মনে হয়েছিলো নিজেকে জয় করার জন্য এতো সুন্দর সময় হয়তো আর পাওয়া যাবে না কখনও। সবমিলিয়ে ছিল বাইরে বৃষ্টি, চোখের বৃষ্টি আর মনে ছিল ভাল-লাগার মেঘ। আর এখন পৃথিবী যতই কাদুক, আমার তাকিয়ে সময় পার করা ছাড়া আর যে কোন কাজ নেই!

                 নিজের সাথে হারিয়ে যাওয়া বা কথা বলা আমার অনেক পুরোনো অভ্যাস, বৃষ্টিস্নাত সকাল/ দুপুর/ সন্ধ্যা আমাকে বারবার নিজের কাছে নিয়ে যায়; কানের কাছে এসে যেন বলতে থাকে সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে কথা বলে নেও।আর তাই হয়তো এইরকম দিনের জন্য বছর জূড়ে প্রতিক্ষা করি।