চেষ্টা করেও ঘুম আটকে রাখতে পারছি না রোজার দিনে অফিসে। রোজা খুব ভালভাবে ধরেছে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু কিছুই করার নাই। আর এই বিদেশ বিভূইয়ে এসে বাংলাদেশের অফিস সময়ের কথা মনে পড়ে যায়। রোজা উপলক্ষে সারা মাস ৩ টায় ছুটি। বাসা কাছে ছিল বিধায় ১৫ মিনিটের মধ্যে বাসায় এসে এ সময় সরাসরি পিঠটান দিতাম বিছানায়। এখন পুরাটা মাস কাটবে ট্রেন এ বসে ইফতার করতে করতে; আর পিঠটান এর ব্যাপারটা মনে হয় আর হবে না।
যাই হোক এবারই প্রথম রোজা রাখছি দেশের বাইরে। ভাল দিক হলো দিনের দৈর্ঘ্য বেশ কম, আবহাওয়া ঠান্ডা ঠান্ডা হয়ে থাকে সবসময়। খালি সমস্যা হলো সংযমের – চারপাশের মানুষ ক্রমাগত যেন যা পারছে গিলছে। এখানে যে যা পারে খেতে থাকে আর বইও একটা হাতে নিয়ে পড়তে থাকে সবসময়। কেঊ আবার kindle এ virtual বইয়ের পাতা উল্টিয়ে কফি খেতে খেতে পড়ে। আজকে দেখলাম রাস্তা পার হচ্ছে এক মহিলা, হাতে বই নিয়ে; সিগন্যালের আওয়াজ শুনে রাস্তা পার হলো কিন্তু চোখ সরে না বই থেকে।
রোযার প্রথম দুদিন পার করলাম, ইফতারের সময় মনটা আনচান করে বনানীর Dish&Desert Restaurant এর হালিম আর জিলাপী খেতে; বনানীর স্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ইফতার কিনা, মানুষের ভীড়, নানা রকম রকমারী ইফতারীর উপাদেয় খাবার (বিস্তারিত লিখলে রোযাটা এখনি ভেঙ্গে যেতে পারে) – এ সব কিছুই এক নিমিষেই যেন হারিয়ে ফেললাম।