বাসার সামনে বড় বড় বিশাল দুইটা গাছ আছে, গাছ
দুইটার নাম জানি না। কারন গাছ আমার ভাল লাগে কিন্তু কোনটা কি গাছ এই সম্পর্কে আমার
জ্ঞান শুন্য থেকেও কম। আসলে আমার ধারনা সব কিছু নিয়ে ছোঁকছোঁক জ্ঞান থাকলে মাথায়
চাপ পড়ে এবং চাপের কারনে সাধারন যাপিত জীবন যাপন ব্যহিত হয়। এই ধারনায় জীবন দর্শন
চালাতে গিয়ে জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে এখন দেখি দুয়েকটা বিষয় বাদে অন্যান্য বিষয়ে
আমার কোন ধারনাই নেই। মোটামুটি বলা চলে ধারনাহীন জীবন চালাচ্ছি এখন।
ধারনাহীন জীবন যাপনের অনেক উদারন দেয়া যায়। এখন
যেমন অনেকটা বিরক্ত হয়েই ব্লগিং করছি। অনেকক্ষন ধরে একটা নতুন কাজ বোঝার চেষ্টা
করে মাথা ঝিমঝিম করছে। একদম ধারনার বাইরে আমার এই নতুন কাজ – অনেকটা নভিসের মতো
মনে হচ্ছে নিজেকে।
আজকে খানিকটা মাথা ব্যাথা করছে, চোখ দেখিয়েছি
কয়েকদিন আগে – চোখের সমস্যা নেই; ঘুমেরও সমস্যা নেই; তাহলে মাথাটার ব্যাথিত হবার
কারন টা কি – ধারনা করতে পারছি না।
অফিসে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানুষ কাজ করে।
একেকজনের ব্যবহারে বিস্তর ফারাক – কেউ কিছুতেই মহা বিরক্ত আবার কারও সারাক্ষন হাসি
হাসি মুখ। আমার এই দুটোতেই বিশাল এলার্জি আছে। আমি অতিরিক্ত অভিব্যক্তি দেখানোকে
কেন জানি পছন্দ করি না। এর অন্যতম কারন আমি একদমই ধারনা করতে পারি না মানুষটার অতিরিক্ত
অভিব্যক্তি দেখানোর কারন।
এইখানে রাস্তায় অনেক মানুষ দেখি – বিভিন্ন দেশের
মানুষ গাদাগাদি করে সকালে বাসে-ট্রামে-ট্রেনে চলাফেরা করে। বিচিত্র এদের চেহারা,
পোষাক, চালচলন। তবে একটা জিনিষ সবার জন্য একই – তা হলো নিয়ম। এইখানে নিয়মের বাইরে
মানুষকে যেতে দেয়া হয় না এবং মানুষ চেষ্টাও খুব একটা করে না। নিজের দেশে সবাই
এমনি করে খানিকটা নিয়ম মেনে চললে যে অনেক সুন্দরভাবে চলাফেরা করা যায় – এই ব্যাপারটা
কাউকে বললে... – বলবে এইটা অসম্ভব, কারন তা ধারনারও অতীত। ঃ(