“প্রথমেই,
ইহা একান্তই নিজস্ব এলার্জি বিষয়ক পোস্ট, কাঊকে কোনপ্রকারে আঘাত করিয়া থাকিলে
দুঃখিত”
===============================================================
এলার্জি-১
ট্রেনে
বাসায় যাচ্ছি, সামনে এক চুমাখাপো এক ভারতীয় গলা ফাটাইয়া ঘ্যান
ঘ্যান করতেছে; এই দেশের মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি মোটামুটি সবসময়
শুন্যের কোঠায় থাকে। সারা ট্রেনের মানুষ ব্যাপক বিরক্ত ব্যাটার উপর; আমারি মনে হইতেছে উইঠা গিয়া লাথি মারি।
এলার্জি-২
মেলবোর্নে
চাইনীজ এত্তো বেশি দেখা যায় যে মাঝে মাঝে মনে হয় আমি চাঙ্কু দেশে থাকি; এদের ব্যবহার বাসে ট্রেনে শান্তই থাকে (দু-একটা বাদে); এরা ভারতীয়দের মতো কমন সেন্সে এতো ভোতা না।
এলার্জি-৩
প্রথম দিকে
ভাবতাম সব সাদা মানেই অজি – যদিও এইখানে থাকতে থাকতে সবাই অজি হয়
(বাঙালি বাদে)। বাঙ্গালির ব্যাপক সমস্যা এইখানে – এরা এই ব্যাপারে আধাআধি (অন্য সময়
লিখব অস্ট্রেলিয়ায় বাঙ্গালীর কথা, এখন না); যাই হোক সাত রকমের সাদা মানু্ষের ব্যবহারও সাতশ রকমের। এদের চেহারা দেখে
বোঝার উপায় নেই আসলে মনের ভেতর এদের কি চলে - কেউ মন ভার করেও সারাদিন মুখ ভর্তি
হাসি নিয়ে দিন পার করে, কথায় কথায় বলে ভাল আছি, আর বেশি মেজাজ খারাপ থাকলে
শুধুমাত্র বলে ‘not bad’; এরা মনের কথা মনে তালা মেরে রাখতে বড়ই ওস্তাদ।
এলার্জি-৪
এই খানে
পিচ্চি পিচ্চি দুধের বাচ্চাদের ডে কেয়ারে বাবা-মাদের ফেলে যাওয়ার মতো হৃদয় বিদারক
কাজ মনে হয় আর দ্বিতীয়টি নাই। ডে কেয়ারে বাচ্চারা ঠান্ডায় ফ্লোরে পড়ে থাকে, নির্দিষ্ট
পরিমান খাওয়া ভাগ করে খেতে শিখে, ভরা রোদে পুড়তে পুড়তে খেলা শিখে – এগুলো যে খারাপ
তা না, কিন্তু আমার অস্বস্তি লাগে যখন ভাবি কি হয় নিজের দেশের মতো সব মা’রা সকাল
বেলায় আদর করে বাচ্চাকে খাইয়ে দেবে, নিষেধ করবে ভরা রোদে না যাওয়ার, ছোট বাচ্চার
শৈশব পাবে সারাটাক্ষন মায়ের ছায়াতল।