#বর্ষা-সময়
#মাইক্রো-ব্লগ #আত্ন-কথন
১।
বাইরে প্রচন্ড
বাতাস, একেবারে উথাল-পাতাল বাতাস, সাথে হাল্কা ঝির ঝির বৃষ্টি, গা হিম হিম করার জন্য
যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকু। মেলবোর্নের এ সময়টা এরকমই, গায়ে কয়েক স্তরের কাপড় না থাকলে
ভীষণ বিপদ – দিন শেষে তখন বাসায় আসতে হবে কাশতে কাশতে, কাপতে কাপতে।
২।
পৃথিবীর
কোথাও এখন ঝির ঝির করে তুষার পড়ছে, আর এখানে পড়ছে বৃষ্টি। দেশে থাকতে সব চেয়ে পছন্দ
ছিল আষাঢ়-শ্রাবণ মাস। আমি যেহেতু কখনই খেলা পাগল ছেলে ছিলাম না, তাই ঘরের বাইরে যাওয়ার
থেকে বাসায় বসে ভাবনা চিন্তাতেই বেশি আনন্দ পেতাম। এখনকার মতো মনের ভাবনা পরিহারক
xbox বা playstation ছিল না আমার, কম্পিঊটার ও ছিল বড্ড পুরোনো-ধীর। চারতলা বাসার দোতলায়
এর কোনার বড় ঘরটা ছিল আমার, সাথে বড় বারান্দা। বাসার পুরোনো কাঠের বানানো চেয়ারটায়
বসে গ্রীলের ফাঁক দিয়ে সামনে বড় মাঠটায় যখন মুসল ধারে বৃষ্টি পড়তো – তখন মনের কোথায়
জানি আনন্দ লাগতো, বড় আনন্দ হতো সামনের শক্ত পীচের ওপর বৃষ্টি পড়ার শব্দ শুনতে, আর
সাথে হালকা ঠান্ডা বৃষ্টির আঁচ যখন ছুঁয়ে ছুঁয়ে যেত।
৩।
বর্ষার
গল্প কখনও শেষ হয় না, সাথে যদি থাকে মনের মাঝে গল্প লেখার ছল। আরও ছোট কালেও বৃষ্টি
দেখেছি বসে বসে। তখন বালক বয়স, বাসার সামনে ছোট্ট মাঠ, বড় ফুলের বাগান, পাশে সবজি,
ফলের বাগান – বাসা ভর্তি গাছ-গাছালি। অথচ বাসাটা একেবারে শহরের মাঝখানে, অনেকটা বাংলো
বাড়ির মতো। বাসার সামনের গাছে পাখি বসতো, টিয়া পাখি, শালিক পাখি, আরও কত যে নাম না
জানা পাখি – বৃষ্টির মধ্যে ভিজে একসা হয়ে থর থর করে কাপতো। পাখির কাপা কাপি দেখি মনটা
অস্থির হয়ে উঠতো, কিন্তু কিচ্ছু করার ছিল না। আর এখন আমার ছোট ছেলেকে তার মা, ভয় দেখায়
বার্ড বার্ড বলে – কি অদ্ভূত!