শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০১০

আত্নকথন (শুন্যতা)

রোজা রাখলে নিজের মধ্যে কেমন জানি শুন্যতা বিরাজ করে, আসলে কতবড় শুন্যতায় আমরা সবাই বেঁচে আছি - এ সম্পর্কে হয়তো আমাদের কারও পরিস্কার ধারনা নাই। একঘেয়ে জীবনে একটানা একই রকম অনুভূতির মধ্যে দিয়ে আমাদের নিত্য বসবাস। শুকিয়ে যাওয়া কল্পনা এখন আর সজীব হয়ে ফুঁটে উঠতে পারে না নিজের মতো করে। ক্রমাগত সংগ্রাম চারপাশের কঠিন হতে কঠিনতর হয়ে উঠা পরিবেশের সাথে নিজেকে অভি্যোজিত করার প্রয়াসে।নিজের সাথে আনন্দ করা যেন এখন হয়ে উঠেছে অনেকটা গদ্য কার্টূনের মতো, যেখানে রূঢ় চারিত্রিকতায় আকর্ষিত আমরা। ভাল একটা বন্ধুর খোঁজে মনে হয় এ জীবনটাই পার হয়ে যাবে, তবুও সত্যিকারের সেই বান্ধব মানুষটাকে হয়তো কখনো খুঁজে পাওয়া যাবে না। এত সব না পাওয়ার খোঁজে নিজের মনের মধ্যেই শুন্যতার সৃষ্টি, সেখানে দিন শেষে ইফতারে মনকে মানাতে চাওয়া, শরীরকে বলতে চাওয়া -- এই চেষ্টাময় বাঁচার স্নিগ্ধতাতেই হয়তো পূর্নতা।

মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০১০

আত্নকথন

আর মাত্র দিন কয়েক পর সিডনির উদ্দেশ্যে রওনা হবো। যতই দিন যাচ্ছে মনে পিছুটান বাড়ছে, ভাল না লাগার বিভিন্ন উপলক্ষ হচ্ছে। সারাক্ষন ঝিম মেরে বসে থাকি, চেষ্টা করি টুকটাক গোছানোর; আসলে গোছানোরও খুব বেশি কিছু নাই। বেশিরভাগ জিনিষই এর-ওর বাসায় ফেলে রেখে যাব। বিক্রি করলে ১/৩ ভাগের কমও টাকা পাওয়া যায় না; সাথে বরং মনটা খারাপ হয়।
       এদিকে অস্ট্রেলিয়ার রেসিজমের খবর গুগলে সার্চ দিয়ে পড়ি আর মনে ভয় ধরে। ভয়ের আরও কারন পুরা পরিবার নিয়ে যাচ্ছি; ছেলে আমার বড় হবে সেখানে, পড়বে সেখানের স্কুলে। নতুন দেশের দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হবে; যদিও এ নিয়ে আমি ভীত নই।নিশ্চয় আল্লাহ্‌ কোন না কোন ব্যবস্থা করবেন, কিন্তু ভয় সেই রেসিজমকেই। আসলে দেশ ছাড়বার মূল কারন দেশের সবকিছুতেই অসংগতি পেয়ে, যদিও টিকটিকির মতো ভালভাবেই বেঁচে ছিলাম। তবুও ছাড়ছি, হয়তো ভাল কিছুর আশায়, হয়তো কপালের ফেরে। (চলবে)