যাই হোক সামনের এই দু'সপ্তাহ দম ফেলার সময় পাবো কিনা আমার সন্দেহ আছে, কারন বাসা খুঁজতে হবে এবং পেতেই হবে শহরেরে কাছাকাছি দূরত্বে। এই অস্ট্রেলিয়ায় বাসা পাওয়া যে কি দূরুহ, এটা এখানে না আসলে কখনোই আমার ধারনা হতো না। বাসা পেতে, রীতিমতো চাকুরির মতো করে দরখাস্ত দেও, বাসা দেখে যদি পছন্দ হয় তাহলে এজেন্ট বেটাদের পটাও। তারপরেও যদি দিতো -- এইখানে বাসা ভাড়া বা বিক্রি সবই করে Real Estate Agent-রা, তারা ভাবী ভাড়াটিয়ার credit check, কাজের pay slip, bank statement, identification কিছুই দেখতে বাদ রাখে না। তারপর ছাত্র হলে তো শুরুতেই বাদ, মুখের উপর না করে দিবে। সব শেষে ফোনও দিয়ে বসে কাজের জায়গায়, জিজ্ঞেস করে বাসা ভাড়া দিবে কিনা।
এতকিছুর পর মনে যদিও কিছু আশা থাকে বাসা পাবেন, তাও নাকচ হয়ে যেতে পারে আরও অন্যান্য দরখাস্তকারীর জন্য এবং ভাড়ি ভাড়ার এজেন্ট তখন যাচাই-বাছাই করে যাকে সবচেয়ে পছন্দ হয়ে তাকে বাসা ভাড়া দিবে। একটা ভাল বাসার পিছনে শ'খানেক মানুষ দরখাস্ত করে বাসাটা পাওয়ার জন্য; কিন্তু হায়! বাসাতো মোটে একটা।
যেহেতু এই প্রথম নিজের নামে বাসা নিবো, এগুলো ভেবেই মাথা রীতিমতো গরম হয়ে আছে; আর এদিক দিয়ে মেলবোর্ন চিনিই না। ইন্টারনেটে বাসা দেখে মাত্র কয়েকটা পছন্দ হয়েছে; যেগুলো হয়েছে সেগুলোতে যোগাযোগ করে মাত্র তিনটার জন্য inspection time fixed করলাম। সিডনির মতো মেলবোর্নে এত সুন্দর করে রেল যোগাযোগ নাই; অনেকটা বাস-রেল-ট্রামের এক জগা খিচূঁড়ি ব্যবস্থা। কোথাও যেতে হলে metlinkmelbourne এর Trip Planner এ গিয়ে দেখা নেয়াটা আমার কাছে সুবিধাজনক মনে হয়েছে; কারন কখনও বাস আবার কখনও ট্রাম আর মাঝখানে ট্রেন তো আছেই!
সময়টা তেজী ঘোড়ার মতো দৌড়াচ্ছে; আর আমার এভাবে দৌড়িয়ে অভ্যাস নেই; কিন্তু তাল মেলাতে গিয়ে এখন আমার ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। দেখা যাক দৌড়টা কোথায় নিয়ে পৌছায় আমাকে?