সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১১

দিনাতিপাত-৩

মোটামুটি গভীর রাতে ল্যাপটপ খুলে বসে আছি, এতো গভীর রাতে বসে থাকার কোন মানে হয় না। আশেপাশের সবাই ঘুমে অচেতন, আমিই কেন জানি ঘুমাতে পারছি না। ঢাকায় থাকলে এই সময় কোন আওয়াজ পাওয়া যেত না, কিন্তু এখানে পাওয়া যায়। আমি থাকি প্যারামাটা সাবার্বে, রাস্তার চলমান গাড়ির আওয়াজ যখন-তখন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠে। আমি সাধারনত এতো আওয়াজে ঘুমাতে পারি না, কিন্তু চেষ্টা করে যেতে হচ্ছে।

আজকে ইঙ্গেলবার্ন নামের একটা এলাকায় গেলাম দ্বিতীয়বারের মতো (প্রথমবার যেতে হয়েছিল পাসপোর্ট হারিয়ে আবার ফিরে পেতে)।র রাস্তার কাজ চলছে ছুটির দিনগুলোতে -- এইটা সিডনির নিয়মিত ব্যাপার। Track work ্যখন চলে তখন বাস সার্ভিস দেয় এর পরিবর্তে। আজকে যখন স্টেশন এ গিয়ে আবিষ্কার করলাম যে প্রায় পুরো রাস্তাটাই বাসে করে যেতে হবে, তখন কেন জানি আর যেতে ইচ্ছা করছিলো না। তবুও রওনা দিলাম এবং বাসে ঘামতে ঘামতে একটা সময় সেটাও সহনীয় হয়ে উঠলো। 

ইঙ্গেলবার্ন জায়গাটা বেশ চুপচাপ, গোছানো -- কেঊ যদি আরাম করে শুনশান পরিবেশে থাকতে চায় তবে জায়গাটা একদম সঠিক। সাধারনত বেশি বয়শী লোকজন দুরের suburb গুলোতে বাসা কিনে চলে যায় এই রকম শুনশান পরিবেশে থাকতে। যে বাসায় গেলাম তা বেশ গুছানো ছোট্ট বাসা, এইরকম বাসা দেখলে খালি মনে হয় -- ঢাকার আশেপাশের এলাকাগুলোতে তো অন্তত এই রকম ছোট গুছানো বাসার structure থাকলে কি আর এমন ক্ষতি হতো? 

ফিরবার সময় একি ভাবে বাস ধরে, কানে গানের বাক্সের দড়ি (ipod) লাগিয়ে রওনা দিলাম।শুনশান স্টেশন ছাড়িয়ে তীব্র আওয়াজের দিকে যাত্রা, কানে বাজছেঃ কৃষ্ণকলির 'সাতকাহন'।




২টি মন্তব্য:

  1. "এইরকম বাসা দেখলে খালি মনে হয় -- ঢাকার আশেপাশের এলাকাগুলোতে তো অন্তত এই রকম ছোট গুছানো বাসার structure থাকলে কি আর এমন ক্ষতি হতো?"

    - হুবুহু আমার মনের কথাটা বললেন। ইংগলবার্ন, গ্লেনফিল্ড, ম্যাকিউরিফিল্ড, মাউন্ড ড্রুড ইত্যাদি এইসব নিরিবিলি এলাকাগুলোতে গেলে, রাস্তার পাশের সুন্দর সুন্দর বাসাগুলো দেখলে কেমন যেন বুকের ভিতর খালি মনে হয়, আহা, দেশে যদি এমন শান্তিতে নিরিবিলিতে থাকার জায়গা পাওয়া যেতো!

    উত্তরমুছুন