রবিবার, ২ মে, ২০১০

অ=অফিস আ=আওয়াজ


ইদানিং অফিসগুলোতে বিভিন্নভাবে শব্দ দূষন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে open office culture শুরু হবার পর থেকে। সবচেয়ে বিরক্তিকর হচ্ছে, হঠাৎ করেই কিছু colleague-এর চিৎকার করে মুঠোফোনে কথা বলা। আবার অনেকেই তার অধীনে থাকা কর্মচারীকে ততোধিক আওয়াজে শাসন করা। এসব কিছুর সাথে আছে আর্তচিৎকারে বেজে উঠা ringtone, তখন মনে হয় কোথাও পালিয়ে যাই।
এসব থেকে রেহাই পেতে অনেক অনূরোধ, এমন কি চিহ্ন সম্বলিত ছবি টাঙিয়েও কোন লাভ হয় নাই। অনলাইনে সামান্য ঘুরে পেলাম আমাকে সাপোর্ট করে এমন কিছু তথ্য।৭০% অফিস কর্মচারীর মতে, উটকো আওয়াজ যদি কমানো যায় তবে সত্যিই কাজের productivity বাড়বে। মজার ব্যাপার হলো, মাত্র ১৯% কর্মচারীই ব্যাপারটি নিয়ে সজাগ। হায় কপাল আমি কেন সেই ১৯% এর মধ্যে পড়লাম! Extra sound-টা শুধু্যে বিরক্তিই উদ্রেক করে তাই নয়, সেই সাথে কাজের প্রতি আগ্রহ, efficiency এবং productivity-ও কমিয়ে দেয়।
Microsoft-এর Nick MacPhee (Vice President, Operations) একটা উক্তি করেছেন, "Would it be smart to save $5,000 over the course of a year by putting a highly valued, expensive employee in open space, where that person won't do the best possible job? We don't think so." (ইংরেজীতেই রাখলাম) আসলে cubical অফিস স্পেস করার সময় যদি শব্দ দূষন কিভাবে কমবে সেটা মাথায় রাখা হয়, আকর্ষনীয় আকৃতি থেকে; ব্যাপারটা খুবই কাজের হয়।
বিশেষ করে যারা software developer বা core technical/solution architect তাদের মাথায় সবসময় কমপক্ষে ২০টা জিনিষ মাথায় ঘুরপাক খায়; ঠিক এই সময় যদি পাশের সহকর্মী সচিৎকারে পারিবারিক বা যেকোন বিষয়ে কথা বলতে থাকে, যা আপনার সমস্ত চিন্তার পরিপন্থী; তখন সত্যিই আবার আমার মতো দৌড়ে পালাতে ইচ্ছা করবে।আরেকটি ব্যাপার এখানে বের হয়ে আসে, চিরাচরিত introvert (যারা চুপচাপ থাকতে ভালবাসে) এবং extroverts (যাদের কাছে আওয়াজটা আনন্দ দেয়) দের চারিত্রিকতা।'Irrelevant Speech Effect' বলতে সেই কথোপকথনকেই বোঝায় যেখানে বিরক্তি আর কাজের প্রতি অনীহার উদ্ভব করে।
শেষে এতটুকু বলতে পারি, জানিনা আমার অফিসের কতটুকু উন্নতি হবে, অন্তত এটুকু বলতে পারি technically বা non-technically, চেষ্টা চালিয়ে যান অথবা খেয়াল করুন আপনার কথা বলায় কারো অসুবিধা হচ্ছে কিনা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন