শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১১

দিনাতিপাত-৮

সারাদিন অফিস করি, সন্ধ্যায় নিয়ম করে বাসায় যাই – আটপৌড়ে জীবন বলা যায়। ছকের বাইরে কিছুই করি না, ছক মেনে চলা। মাঝে মধ্যে চরকায় যেমন সুতা আটকে যায়, তেমনি মাঝে সাঝে নিজেকেও বাঁধা-ছাড়া করতে ইচ্ছে করে। আটকে থাকা সময় থেকে নিজেকে খানিকটা সরিয়ে ফেলে নিজের জন্য কিছু ভাললাগাতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সময়ের আষ্টেপৃষ্ঠে নিজেকে যেভাবে বেঁধে ফেলেছি, সেখান থেকে চাইলেই নিজেকে ছুঁড়ে ফেলা যায় না; সময়, পরিস্থিতি আর দায়িত্ব আমাকে দিনের পর দিন নিখুঁত ভাবে বেঁধে ফেলেছে। সাময়িক ছুটি নেবার অভিলাষী হলেও পরিস্থিতি আটকে ফেলে। তাই মাঝে মধ্যে ব্লগ লিখি, আগে খেরোখাতায় হাত চালাতাম – এখন কম্পির কি-বোর্ডে। পার্থক্য বলতে এইটুকুই ...


মাঝে মাঝে মেজাজ অসাধারন খারাপ থাকে, আবার মাঝে মাঝে নিজেকে নিজেই চিনতে পারি না – মনের ক্রমাগত পারিবর্তনিক পরিস্থিতি দেখে। দেশে মন খারাপ থাকলে একা একা রাস্তা ধরে হাটতাম, এই খানে সেটা হয়ে উঠে না ... কারন সেই সময় করে ট্রেন ধরা, বাস ধরা আর ট্রাম ধরার বদৌলতে সব ঝেড়ে ফেলতে হয় মন থেকে।


  

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১১

দিনাতিপাত-৭

চেষ্টা করেও ঘুম আটকে রাখতে পারছি না রোজার দিনে অফিসে। রোজা খুব ভালভাবে ধরেছে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু কিছুই করার নাই। আর এই বিদেশ বিভূইয়ে এসে বাংলাদেশের অফিস সময়ের কথা মনে পড়ে যায়। রোজা উপলক্ষে সারা মাস ৩ টায় ছুটি। বাসা কাছে ছিল বিধায় ১৫ মিনিটের মধ্যে বাসায় এসে এ সময় সরাসরি পিঠটান দিতাম বিছানায়। এখন পুরাটা মাস কাটবে ট্রেন এ বসে ইফতার করতে করতে; আর পিঠটান এর ব্যাপারটা মনে হয় আর হবে না।

যাই হোক এবারই প্রথম রোজা রাখছি দেশের বাইরে। ভাল দিক হলো দিনের দৈর্ঘ্য বেশ কম, আবহাওয়া ঠান্ডা ঠান্ডা হয়ে থাকে সবসময়। খালি সমস্যা হলো সংযমের – চারপাশের মানুষ ক্রমাগত যেন যা পারছে গিলছে। এখানে যে যা পারে খেতে থাকে আর বইও একটা হাতে নিয়ে পড়তে থাকে সবসময়। কেঊ আবার kindle virtual বইয়ের পাতা উল্টিয়ে কফি খেতে খেতে পড়ে। আজকে দেখলাম রাস্তা পার হচ্ছে এক মহিলা, হাতে বই নিয়ে; সিগন্যালের আওয়াজ শুনে রাস্তা পার হলো কিন্তু চোখ সরে না বই থেকে।

রোযার প্রথম দুদিন পার করলাম, ইফতারের সময় মনটা আনচান করে বনানীর Dish&Desert Restaurant এর হালিম আর জিলাপী খেতে; বনানীর স্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ইফতার কিনা, মানুষের ভীড়, নানা রকম রকমারী ইফতারীর উপাদেয় খাবার (বিস্তারিত লিখলে রোযাটা এখনি ভেঙ্গে যেতে পারে) – এ সব কিছুই এক নিমিষেই যেন হারিয়ে ফেললাম।
  

বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১১

দিনাতিপাত-৬

মানুষ জীবনে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ধরা খায়, এবং ধরা খেয়ে আবার ধরা খাওয়া পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসে। আমিও এর ব্যতিক্রম না, তবে আমি সবসময় কিছু গচ্ছা দিয়েই বের হয়ে আসি। এই যেমন এই মেলবোর্নে এসে আজকে দ্বিতীয়বারের মতো ধরা খেলাম। প্রথম খেয়েছি বাসা ভাড়া ২ সপ্তাহের বেশি দিয়ে, ভাড়া করা বাসায় না থেকেই। কারেন্ট-গ্যাসের সংযোগ না থাকায় বাসায় না উঠে বন্ধুর বাসায় ছিলাম এবং সময়ক্ষেপন না করে ভাড়াটিয়া/বাড়ির দালাল (ভদ্র ভাষায় এদেরকে রিয়েল এস্টেট বলতে ভাল লাগে না) –দের জানানোর পরেও যখন তারা দু’সপ্তাহের পর বাসায় উঠার কয়েকদিন পর যখন চিঠি পাঠায় যে, গত দু’সপ্তাহ (যখন আমি থাকি নাই utility না থাকার কারনে)-এর বাসা ভাড়া দিতে। আমার তখন বিষম খাওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না। অনেক প্রমান, অভিযোগ, উপযোগ করেও যখন বাড়ির মালিকদ্বয় মেনে নিল না, তখন এই ভীতু আমি ধরা খেলাম ভেবে, বাসা ভাড়ার নামে অনেকগুলো ডলার দিয়ে দিতে বাধ্য হলাম। মনে মনে ভাবলাম বড্ড বোকামি হয়ে গিয়েছিল যে, বাসায় কারেন্ট-গ্যাসের সংযোগ না দেখে – পরদিন গিয়েই বাসার চাবি দালালদেরকে ফেরত দিয়ে না আসা।

এবার পরিচিত একজন বুঝিয়ে বললো যে, আমি কেন concession –এ ট্রেন-বাস-ট্রাম এর টিকেট কাটি না, যেন আমার মতো বোকা আর কেঊ নাই এ ভূবনে। আমিও খুব বোকা বনে ভাবলাম, তাইতো medicare card আছে ওইটা দেখিয়েই বোধহয় কাটা যাবে কম পয়সার টিকেট; শুধু শুধু ডলারের শ্রাদ্ধ কে করে! অতি আনন্দের সাথে স্টেশন মাস্টারের কাছ থেকে টিকেট কাটলাম, এবং মনের খুশিতে কম পয়সার টিকেটে নিয়ে city অভিমুখে যাত্রা করলাম। যাত্রা শেষে টিকেট মেশিনে টিকেট ঢুকিয়ে বের হবার সাথে সাথে অপর পাশে দাড়িয়ে থাকা দুই টিকেট চেকার মামা আমাকে ডাক দিয়ে health card দেখাতে বলে; আমি বের করি medicare; বলে এইটা না হেলথ্‌ কার্ড। এইবার বিপদের তারতম্য আর কার্ডের পার্থক্য বুঝতে পারলাম একযোগে। মামাদের বুঝালাম যে, মামা ভুলে ভুল হয়ে গেছে, এইবার আমারে ছাইড়া দেন। কিন্তু এইটা কি বাংলাদেশ যে, শুকনো কথায় চিড়া ভিজবে; তাই আমিও চিড়া ভিজাইতে পারলাম না। একটা কাগজে নাম ঠিকানা লিখে বলে সময় মতো কাগজ চলে যাবে তোমার ঠিকানায়। বুঝলাম ভূয়া কামে আজাইড়া একটা fine খেলাম। ধরা আর কারে বলে!

[মনে হইতেছে, মিলাদ দেয়ার সময় হয়ে গেছে, আল্লাহই জানে কপালে আর কতো ধরা আছে!]

বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০১১

দিনাতিপাত-৫

আমি যখন অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেই তখন মোটামুটি ৭টা বাজে; ঘুম থেকে উঠি ৬ টার একটু পরে (যদিও আইপডে আলার্ম দেয়া থাকে সকাল ৬টায়)। এত তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙ্গে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করতে কারই বা ভাল লাগে? তবুও বিদেশ বলে কথা, চাইলেই একটু ফাঁকি দিয়ে দেরি করে অফিস যাওয়া যায় না। আমার মেলবোর্নের নিবাসটা কাজের জায়গা থেকে একটু দূরেই হয়ে গেছে, কারন খুব কম সময়ে বাসা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আর যেসব বাসা পছন্দ হয় সেগুলো রিয়েল এস্টেট কোম্পানি দেয় না (না দেয়ার পিছনে অবশ্য আমি যেটা বুঝেছি তা হলো এখানে আমার এখনো history তৈরী হয় নাই যা ভাল বাসার পাবার জন্য অতি দরকারী)।  

যা বলছিলাম! বাংলাদেশে খুব কম ঠান্ডাতেও বেশি শীত লাগতো আর এইখানে তো আসলেই অনেক ঠান্ডা পরে তার উপর রয়েছে হাড় কাপানো কনকনে ঠান্ডা বাতাস। এই বাতাসের প্রকোপ যখন গায়ে লাগে তখন গলা ব্যাথা সাথে সাথে শুরু হয়ে যায়। আর প্রতিদিন এই হিম করা বাতাস উপেক্ষা করে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকি তীর্থের কাকের মতো। তখন খালি মনে হয় – ভাগ্য ভাল কানাডায় যাই নাই...তাহলে আর আমাকে খুঁজে পাওয়া যেতো না। আমার সকল আশা ধন্য করে বাস খানা যখন আসে, তখন খুব সরল আনন্দ হয়, এ আনন্দের কোন প্রকৃতি নাই, এটা এমনি এমনি হয়। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ট্রেন স্টেশনের সামনে নেমে আবারও ঠান্ডা প্রকৃতিকে কাঁচ কলা দেখিয়ে ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকি... এবার আশায় থাকি যদি কোনরকমে একটা বসার জায়গা পাওয়া যায়। শতকরা ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে আমার আশা পূর্ন হয় না, বরং আজকে যা হলো তাতো ভয়াবহ – দাঁড়ানো অবস্থায় কোথাও ধরতেও পারছিলাম না, ট্রেনের বাঁকের সাথে সাথে আমিও এদিক সেদিক বেঁকে যাচ্ছিলাম। সিডনি-মেলবোর্নে অফিস সময়ে শহর অভিমুখি ট্রেনগুলার বগিগুলা দেখলে মনে হবে আমাদের দেশের ৬ নাম্বার বাসের পরিবেশ থেকে কোন অংশে কম না। এরই মধ্যে অতি আনন্দে হাতল ধরার একটা জায়গা পেলাম এবং খপ করে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বুঝলাম এখানেও একটা ঝামেলা আছে – আমার হাতটা এক প্রেমিক যুগল কে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে যেন; আমিও কোন বিকার না দেখিয়ে চুপকরে ধরে রইলাম হাতল। কিন্তু বিধিবাম – একটু পরেই প্রেমিক যুগলের ভাব বিনিময় শুরু হলো ওষ্ঠ-অধরের মাখামাখিতে, আর আমি অনুভব করলাম যে আমার হাত আর কোনভাবেই প্রেমকে ব্যরিকেড দিতে পারছে না। আমি হাত সরিয়ে আবার আঁকা বাঁকা ভঙ্গিতে নিজের ভার ঠিক রাখতে থাকি।
[মেলবোর্ন  ট্রেন,  সূত্রঃ অর্ন্তজাল]

বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

আত্নকথন (ক্ষন)

প্রায়ই মনের ভিতর থেকে জমে থাকা দীর্ঘশ্বাস বের হয়; মনে হয় নিজেকে বড্ড ক্লান্ত --এ মনের ক্লান্তি ।আমি ক্লান্ত শ্রান্ত মন নিয়ে নিজেকে আর দেখি না, দেখি ফেলে আসা চাওয়া-পাওয়ার হিসেব নিকেষ। তারপর একটা সময় আবার ফিরে আসি সহজ পৃথিবীতে -- হয়তো এভাবে হারিয়ে যাওয়াতেই আমার আনন্দ। 

আমার জীবনের বড্ড বেশি সময় কেটেছে ভাব আর আবেগের সংমিশ্রনে নিজেকে খুঁজে ফিরতে ফিরতে। সেই যে কবে নিজেকে খোঁজা শুরু হয়েছিল, তা আজও চলছে...হয়তো চলবে জীবনের শেষক্ষন পর্যন্ত। তবে এই খুঁজতে গিয়ে নিজেকে অনেক ভাবে চিনেছি; চিনেছি ভাংগা-গড়া, পার্থিব বা অপার্থিবের পার্থক্য। জীবনে একদিকে পেয়েছি ভালবাসার আনন্দ, অন্যদিকে হারিয়েছি কত ভাললাগার ক্ষন। সময় যেভাবে দিয়েছে, সেভাবেই কেড়ে নিয়েছে, হয়তো আরও নিবে-দিবে। তবুও দিন শেষে মনটাকে হারিয়ে বসি,  বিকেলের শেষ রাঙ্গা রোদকে দেখার মুগ্ধতায় বারবার আক্রান্ত হই; ভেবে বসে থাকি একটা ক্ষনের জন্য, শুধু একটা ক্ষন ... ...।

রবির এই গান টা শুনেই যাচ্ছিঃ স্বপন দোহে চিনু কি মোহে //






বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

আত্নকথন (আশ্রয়)

হঠাৎ করে রবীন্দ্রনাথ পড়া শুরু করলাম; আসলে ফেলে আসা এ জীবনে রবীন্দ্র রচনাবলী পড়ব পড়ব করেও কেন জানি পড়া হয়ে উঠে নাই। ছোট বেলায় বাসা থেকে গান শিখতে বা'ফা তে পাঠানো হয়েছিল, সেখানে রবীন্দ্রসংগীতের কিছুটা হাতে খড়ি হয়েছিল সাথে আমার বোন যখন গাইতো হারমোনিয়াম খুলে, আমিও বুঝে না বুঝে সুর তুলতাম। ছোট্ট বেলার কচি কন্ঠে রবীন্দ্রসংগীত বাজত, কেন জানি একটা আলাদা আনন্দ কাজ করতো। যদিও এতো আগের অনুভূতি মনে থাকার কথা না।  


আমার জীবনে যেমন অনেক কিছুই ঘটা করে শুরু করে শেষ করা হয় না, তেমনি গানটাও ধরে রাখতে পারিনি। তবে গলার সাথে তখন মেলবন্ধন করে আবৃত্তির। কলেজ, ইঊনি-র সময়গুলো কাঁচা-পাকা আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে সময় চলে গেল -- সাথে কবিতার প্রতি, বিশেষ করে অনুভূতির প্রতি মায়া জন্মালো। বিষন্ন বা আনন্দদায়ক যাই হোক না কেন -- আমার ভাল লাগতো (এখনও লাগে) আবৃত্তির মতো করে অনুভুতির কথার মায়া ছড়াতে নিজের সাথেই। এটা যেন আপন সত্ত্বার সাথে কথোপকথন। 

মনের খেয়ালে নিজের সাথে নিজের এই কথা বলা আমার বহুকাল চলেছে; এই যেমনঃ বারাব্দায় কাঠের চেয়ারে বসে ঝমঝম করে বিরামহীন বৃষ্টিতে সামনের মাঠটার ভেসে যাওয়া দেখা, সাথে নিজের সত্ত্বার সাথে আত্নকথনে মেতে উঠা। আবার কখনো ঘর অন্ধকার করে জানালার পাশে বসে মেঘহীন আকাশে ঝুলে থাকা চাঁদের আকৃতি মাপা, আর বলা ভিতরের কথা সবই কবিতার ছন্দ ধার করে।

এই অসময়ে বিদেশের মাটিতে তাই হয়তো রবিঠাকুর আবার আমার মনে ভর করেছে কোন এক মনের টানে, ভাললাগার টানে। আমি তাই শুরু করলাম একদম শুরু থেকে; কিছুই আর বাদ দেব না। মনটাকে চেনার জন্য রবীন্দ্রনাথের আশ্রয়ে ফেরা ছাড়া আসলেই আর হয়তো কেউ নেই।


"গানের ভিতর দিয়ে যখন দেখি ভুবনখানি
তখন তারে চিনি আমি,   তখন তারে জানি।
তখন তারি আলোর ভাষায়  আকাশ ভরে ভালোবাসায়,
তখন তারি ধুলায় ধুলায় জাগে পরম বাণী।।
তখন সে যে বাহির ছেড়ে অন্তরে মোর আসে,
তখন আমার হৃদয় কাঁপে তারি ঘাসে ঘাসে।
রূপের রেখা রসের ধারায়   আপন সীমা কোথায় হারায়,
তখন দেখি আমার সাথে সবার কানাকানি।"
- গান-২৬, পুজো (রবীন্দ্রনাথ)




[রবীন্দ্র রচনাবলীঃ http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/2 ]

শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

মেলবোর্ন সময় ...

মেলবোর্ন এ এসেই প্রথম যা চোখ ভরে দেখলাম তা হলো একর একর খালি জমি।Avalon Domestic বিমানবন্দর থেকে নেমে বাইরে বেরোতেই সন্ধ্যার ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগল; সন্ধ্যা তখন প্রায় শেষের পথে। একা একা যখন বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম, তখন সামনে থেমে থাকা বাসের কোম্পানির একজন জিজ্ঞেস করে, কোথায় যাব, বাসে যাব কিনা? জানালাম, বন্ধু আসবে গাড়ি নিয়ে। লোকটা হাসি নিয়ে বিদায় নিল। হুট করে মনে হল, সিডনিতে গায়ে পড়ে খোঁজ নিতে কেইবা আসবে!? তাহলে কি মেলবোর্নটা অন্যরকম?

তারপর থেকে অন্যরকমের আমেজ বেশ কয়েক জায়গায় পাওয়া গেল -- বাসে চড়ে, ট্রেনের মানুষের হাসি মুখ দেখে, অফিসের সবার - সেধে পরিচিত হবার উদযোগে এমনি করে বিভিন্ন পরিবেশে। সবচেয়ে ভাল লাগলো মানুষজন এখানে হাসতে পারে, সিডনির মতো মুখ ভার করে থাকে না। হয়তো সিডনিতে কাজের চাপে সবাই চ্যাপ্টা গোলাপের মতো হয়ে থাকে -- এটা কারন হতে পারে।

তবে এখানে এসে আমি একটু বিপদেই পড়ে যাই, কারন বাসে বা ট্রামে উঠার কোন অভ্যাস করতে হয় নাই সিডনিতে থাকাকালীন; বিশেষ করে ট্রামে চড়াটা। ট্রামগুলা এত কাছাকাছি গাড়ির রাস্তা ধরে চলে যে রাস্তায় নামলে গাড়ি, সিগন্যাল সাথে ট্রাম তিনটাই খেয়াল করতে হয়। তবে এখানের রাস্তা বা ফুটপাথগুলো বেশ প্রশস্ত; মোটামুটি হেলেদুলে চলতে খুব একটা সমস্যা হয় না।

আমি এখানে বাসা নিয়েছি পশ্চিমের দিকে, শহর ছাড়িয়ে বলা চলে গ্রামে। এবং এটা যে গ্রাম এ কথাটা স্পষ্ট ভাবে নামের সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে। এমনিতেই মেলবোর্ন খুব শান্ত, তার উপর এ এলাকাটা অতি মাত্রায় শান্ত। প্রথম দিকে তো কানে তালা লেগে যাওয়ার মতো মনে হচ্ছিল। ঢাকা শহরের অতি মাত্রার শব্দ দূষন থেকে ধুম করে অতি নিরব এলাকায় পরে ভিষন অস্বস্তি লাগছিল। সপ্তাহ খানেক যাবার পর এখন ঠিক হয়েছে।

পরিবেশের সাথে ক্ষনেক্ষনে অভিযোজিত হচ্ছি, দেখছি সময়ের বদলে যাওয়া। ভাল লাগছে আবার মনে হচ্ছে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে আমার পুরোনো হতে থাকা সময় গুলো। সময়ের সাময়িকতায় কোথায় দাঁড়াই, সময়ই বলে দিবে ...

সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

গানের ওপারে

গতকাল রাত থেকেগানের ওপারে’ নামের একটা সিরিয়াল একটানা youtube দেখলাম শুরুতে দেখার কোন উদ্দেশ্য ছিল না, শুধুই দেখা কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দেখলাম ভালই লাগে, বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীতের নতুন আর পরিচিত সুরের বৈপরীত্য। কাহিনীর বিন্যাস বা অভিনয় থেকে নিজের আকর্ষন বেড়ে গেল - পরিবেশের সাথে রবীন্দ্রসংগীতের মিলে যাওয়াটা দেখে। ভাল লাগাটা কাজ করল যখন দেখলাম এই নতুন নতুন সময়ে রবীন্দ্রনাথের সেই রেখে যাওয়া সুরের নতুন করে বিভিন্ন ভাবনার সংযোজন। সারাটা রাত দেখেও শেষ করতে না পেরে সকালের অনেকটা সময়ও দেখতে হলো; কিন্তু সুরের টানে একঘেয়েমিটা লাগলো না।

কাহিনীকার বা পরিচালক যত্ন সহকারে চরিত্রের নাম দিয়েছেন (যেমনঃ গোরা, পুপে); সহজ নামের এ যেন সহজিয়া ব্যবহার।আরও আছে বাড়ির নামের অলংকার ‘সোনার তরী’; রবীন্দ্রনাথের সাথে সম্পূর্ন মিশে যাওয়া একটা বাড়ির পরিবেশ। হয়তো আজকাল এইটা নাটকেই সম্ভব, কিন্তু আমার মনে ব্যাপারটা কেমন যেন একটা ভাললাগা তৈরী করে দিল।

পুরোটা কাহিনী জুড়ে আমার আরেকটা জিনিষ আকর্ষন করেছে, তা হলো, রবির সুরের ভাঙ্গা আর গড়া; যেন নতুন শতাব্দীতে পুরোনো রবিকে সাথে করে নতুন উদ্যোমে চলা।

মন ভাল-খারাপের সাথে সারা জীবন মিশে যাওয়া মনের ‘রবীন্দ্রসংগীত’, আমাদের যেমন পথ দেখায় তেমনি নতুন উদ্যোমে চলতেও শেখায়। আর ভাললাগার বোধটা হয়তো তাই সার্থক করেছে; এই শীতের সারারাত জেগে কাহীনিটার পথ চলা দেখায়। পূর্ন আশায় রইলাম, সামনে আরো কিছু গানের সার্থক পরিশুদ্ধ বিন্যাস দেখার। 



শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১১

দিনাতিপাত-8

আগামীকাল মেলবোর্ন যাবো, প্রথম যাওয়া, সপ্তাহ দুয়েক থেকে, আবার সিডনি ফেরত আসতে হবে। হয়তো নিকট ভবিষ্যতে মেলবোর্নেই ঘাটি গাড়তে হবে, কারন চাকুরীর দপ্তরটা আমার স্থায়ী হয়তো সেখানেই হবে। 

যাই হোক সামনের এই দু'সপ্তাহ দম ফেলার সময় পাবো কিনা আমার সন্দেহ আছে, কারন বাসা খুঁজতে হবে এবং পেতেই হবে শহরেরে কাছাকাছি দূরত্বে। এই অস্ট্রেলিয়ায় বাসা পাওয়া যে কি দূরুহ, এটা এখানে না আসলে কখনোই আমার ধারনা হতো না। বাসা পেতে, রীতিমতো চাকুরির মতো করে দরখাস্ত দেও, বাসা দেখে যদি পছন্দ হয় তাহলে এজেন্ট বেটাদের পটাও। তারপরেও যদি দিতো -- এইখানে বাসা ভাড়া বা বিক্রি সবই করে Real Estate Agent-রা, তারা ভাবী ভাড়াটিয়ার credit check, কাজের pay slip, bank statement, identification কিছুই দেখতে বাদ রাখে না। তারপর ছাত্র হলে তো শুরুতেই বাদ, মুখের উপর না করে দিবে। সব শেষে ফোনও দিয়ে বসে কাজের জায়গায়, জিজ্ঞেস করে বাসা ভাড়া দিবে কিনা। 

এতকিছুর পর মনে যদিও কিছু আশা থাকে বাসা পাবেন, তাও নাকচ হয়ে যেতে পারে আরও অন্যান্য দরখাস্তকারীর জন্য এবং  ভাড়ি ভাড়ার এজেন্ট তখন যাচাই-বাছাই করে যাকে সবচেয়ে পছন্দ হয়ে তাকে বাসা ভাড়া দিবে। একটা ভাল বাসার পিছনে শ'খানেক মানুষ দরখাস্ত করে বাসাটা পাওয়ার জন্য; কিন্তু হায়! বাসাতো মোটে একটা।

যেহেতু এই প্রথম নিজের নামে বাসা নিবো, এগুলো ভেবেই মাথা রীতিমতো গরম হয়ে আছে; আর এদিক দিয়ে মেলবোর্ন চিনিই না। ইন্টারনেটে বাসা দেখে মাত্র কয়েকটা পছন্দ হয়েছে; যেগুলো হয়েছে সেগুলোতে যোগাযোগ করে মাত্র তিনটার জন্য inspection time fixed করলাম। সিডনির মতো মেলবোর্নে এত সুন্দর করে রেল যোগাযোগ নাই; অনেকটা বাস-রেল-ট্রামের এক জগা খিচূঁড়ি ব্যবস্থা। কোথাও যেতে হলে metlinkmelbourne এর Trip Planner এ গিয়ে দেখা নেয়াটা আমার কাছে সুবিধাজনক মনে হয়েছে; কারন কখনও বাস আবার কখনও ট্রাম আর মাঝখানে ট্রেন তো আছেই!

সময়টা তেজী ঘোড়ার মতো দৌড়াচ্ছে; আর আমার এভাবে দৌড়িয়ে অভ্যাস নেই; কিন্তু তাল মেলাতে গিয়ে এখন আমার ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। দেখা যাক দৌড়টা কোথায় নিয়ে পৌছায় আমাকে?

বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১১

আত্নকথন ( মিথ? )

স্বপ্ন পরাহত হতে হতে মাঝে মাঝে জেগে উঠে, কল্পনার গল্প মাঝে মাঝে হারিয়ে না গিয়ে আবার ফিরে আসে; এ যেন মাঝে মাঝে সাগরে হারিয়ে যাওয়া বালুকনার মতো; -- আমার সময়টাও এখন অনেকটা সেরকম। সব কিছু মিলিয়ে মাঝে সাঝে যে খুব নিজেকে পথ হারিয়ে যাওয়া নাবিক মনে হয় না, তা নয়; তবুও যখন দুরের বাতিঘরের মতো আলো খুঁজে পাই তখন থমকে দাড়াই; আরও একটু আলোর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করি। চোখের প্রান্ত থেকে যেন আবার হারিয়ে না যায় আলোটুকু তারই প্রচেষ্টায় থাকি। 

বেশি কিছু যেন কেন লিখতে ইচ্ছে করছে না; অনেক বার করে একটা গান শুনছি ... কেন জানি কথাগুলো মনের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে যাচ্ছেতাই ভাবে। নিজের মাঝে একটা দূর্লভ ভাললাগা কাজ করছে, মায়া লাগছে নিজের প্রতিই ...।

 






শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১১

আত্নকথন (নিরুত্তাপ ইচ্ছে)

মাঝে মাঝে জীবনের হিজিবিজি সময় থেকে পালাতে ইচ্ছা করে, যদিও সবসময় পালানো যায় না। আর যখন পালাতে পারি না, তখন বড্ড একঘেয়ে লাগে, কিছুই যেন ভাল লাগে না। নিজেকে মনে হয় তখন সময়ের স্রোতে ডুবে যাওয়া পথিকের মতো -- ডুবছি ডুবছি আর ভেসে থাকতে পারছি না যেন। মনের আনন্দ যেন বিকশ কালো ব্লটিং পেপার দিয়ে শুষে নিয়েছে। চোখ দুটো শুন্য হয়ে পড়ে, শুন্য মনের মতো। নিরুত্তাপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বৃষ্টি দেখতে ইচ্ছে করে।

পুরোনো বন্ধুগুলোকে আবার খুঁজতে ইচ্ছা করে; আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সহজ জীবনের টানাপোড়নে।মন চায় মানুষের সহজ ভালবাসাগুলো ছুঁয়ে দেখতে, আরেকবার ভাবতে ইচ্ছে করে নিজেকে বড্ড বেশি সহজ, সাধারন।

ফিরে ফিরে নিজের পুরোনো আকাশটাকে দেখি; ভাললাগার ডানা মেলে আরেকবারের জন্য বাঁচতে ইচ্ছে করে, ভাবিয়ে তুলতে ইচ্ছে ভালবাসার আপন মনটাকে ... ।













virtual box

সান মাইক্রোসিস্টেমস্‌ (বর্তমানে অরাকল) - এর বেশ কিছু অসাধারন open source software আছে। তার মধ্যে Oracle Virtual Box (আগে নাম ছিল Sun xVM) অন্যতম। সহজ ভাবে বললে, এটা একটা সহজ virtualization software. এখন কেঊ যদি এবার জিজ্ঞেস করে বসে virtualization কি? তাহলে সহজ ভাবে এভাবে বলতে হবে যে, একের বেশি 'কাজ করার পরিবেশ' (execution environment) তৈরী করার জন্য যদি একই বা বরাদ্দ করা resource ভাগাভাগি করা হয় -- তাহলে এটাকে virtualization নামক buzz শব্দটা বলা যায়।

কেন ব্যবহার করবো এই virtual box software? অনেক কথার ফাঁকে না গিয়ে একটা উদাহরন দেই; ধরুন আপনার মনে শখ জাগলো বা আপনার কাজে লাগে এমন কোন Operating System আপনি আপনার কম্পুতে install করতে চান কিন্তু অবশ্যই প্রতিদিনকার ব্যবহৃত OS টা ফেলে দিয়ে নয়। এইরকম সময়ে ত্রাতা হিসেবে আসবে virtual box software টা। 

আচ্ছা! এবার তাহলে চলবে তো আমার প্রতিদিনকার OS এ? অবশ্যই, windows, linux, solaris, opensolaris কিচ্ছু বাদ যাবে না ইনশাল্লাহ্‌।

software টা নামাতে যদি চান (কিছুটা আগ্রহ নিয়ে) তাহলে চলে যানঃ http://www.virtualbox.org/ এখানে খুব সহজেই Downloads Section এ খুঁজে পাবেন একেবারে নতুন চকচকে virtual box 4.0 version. (75.6 MB size দেখে দমে না যাওয়াই উত্তম)। এবার নামানোর পর ধাম করে install করে ফেলুন, দেখবেন একদম সহজ একটা user interface. 

আচ্ছা তারপর? তারপর হলো এইবার একটু কষ্ট করে user manual এর ছবিগুলো দেখে ফেলেন। 
(আমারও খুব একটা manual দেখে কিছু শিখতে একদম ভাল লাগে না, কিন্তু manual টা না দেখলে আসলে বোঝা দূরুহ যে Open Source Community জিনিষটাকে সহজ করতে কত কষ্ট করেছে!)

আচ্ছা বোঝায়ে বলেন, আসলে কিভাবে ঠিকমতো চালাব? তাহলে চলেন শুরু করি।
প্রথমে জায়গা দখলঃ মানে একটা ভাসমান (virtual) HDD তৈরী করতে হবে। খুব সহজ; প্রথমে new আছে না উপরে, ওইখানে click করেন। দেখবেন নাম চায় এবং কোন OS install করবেন select করে ফেলেন। দেখবেন তারপরে আপনাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে, দেন continue. চলে আসবে virtual disk তৈরীর জিজ্ঞাসা। বলেন ভাই যা করবো নতুন করবো, বলেই সামনে আগান; Dynamic Expanding Storage Select করে শেষ করেন।
এইখানে দেখবেন যাই তৈরি করতেছে সবই একেকটা Disk Image File (যেমনঃ vdi, vmdk, vhd, hdd)। তারপর যেহেতু জায়গা দখলের ব্যাপার আছে তাই জায়গা বলে দিন ( তার আগে দেখে নিয়েন আপনার Physical HDD তে জায়গা আছে কিনা ঠিকমতো)। 

এখন যেই নতুন icon টা তৈরী হয়েছে তার উপর click করে start button এ চাপ দিন, দেখবেন সুন্দর একটা box Open হয়েছে। যে OS টা install করবেন তার Source File চেয়ে বসবে এখানে; আপনিও তাকে বলেন কোথায় আছে তা (যদি CD/DVD থেকে OS install করেন তা চিনিয়ে দিন অথবা যদি image যদি ব্যবহার করতে চান সেটাও দেখিয়ে দিন)।

তারপর পছন্দের OS টি install করে নিন। 
আপাতত  এতটুকুই!! 

বিস্তারিত জানতে ঃ 





সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১১

দিনাতিপাত-৩

মোটামুটি গভীর রাতে ল্যাপটপ খুলে বসে আছি, এতো গভীর রাতে বসে থাকার কোন মানে হয় না। আশেপাশের সবাই ঘুমে অচেতন, আমিই কেন জানি ঘুমাতে পারছি না। ঢাকায় থাকলে এই সময় কোন আওয়াজ পাওয়া যেত না, কিন্তু এখানে পাওয়া যায়। আমি থাকি প্যারামাটা সাবার্বে, রাস্তার চলমান গাড়ির আওয়াজ যখন-তখন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠে। আমি সাধারনত এতো আওয়াজে ঘুমাতে পারি না, কিন্তু চেষ্টা করে যেতে হচ্ছে।

আজকে ইঙ্গেলবার্ন নামের একটা এলাকায় গেলাম দ্বিতীয়বারের মতো (প্রথমবার যেতে হয়েছিল পাসপোর্ট হারিয়ে আবার ফিরে পেতে)।র রাস্তার কাজ চলছে ছুটির দিনগুলোতে -- এইটা সিডনির নিয়মিত ব্যাপার। Track work ্যখন চলে তখন বাস সার্ভিস দেয় এর পরিবর্তে। আজকে যখন স্টেশন এ গিয়ে আবিষ্কার করলাম যে প্রায় পুরো রাস্তাটাই বাসে করে যেতে হবে, তখন কেন জানি আর যেতে ইচ্ছা করছিলো না। তবুও রওনা দিলাম এবং বাসে ঘামতে ঘামতে একটা সময় সেটাও সহনীয় হয়ে উঠলো। 

ইঙ্গেলবার্ন জায়গাটা বেশ চুপচাপ, গোছানো -- কেঊ যদি আরাম করে শুনশান পরিবেশে থাকতে চায় তবে জায়গাটা একদম সঠিক। সাধারনত বেশি বয়শী লোকজন দুরের suburb গুলোতে বাসা কিনে চলে যায় এই রকম শুনশান পরিবেশে থাকতে। যে বাসায় গেলাম তা বেশ গুছানো ছোট্ট বাসা, এইরকম বাসা দেখলে খালি মনে হয় -- ঢাকার আশেপাশের এলাকাগুলোতে তো অন্তত এই রকম ছোট গুছানো বাসার structure থাকলে কি আর এমন ক্ষতি হতো? 

ফিরবার সময় একি ভাবে বাস ধরে, কানে গানের বাক্সের দড়ি (ipod) লাগিয়ে রওনা দিলাম।শুনশান স্টেশন ছাড়িয়ে তীব্র আওয়াজের দিকে যাত্রা, কানে বাজছেঃ কৃষ্ণকলির 'সাতকাহন'।